‘আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি!’ ক্যাম্পাসের আশপাশে এ কথা প্রায়ই শুনতে হয় মিশকাত জাহানকে। কেউ কেউ অবশ্য ঠিকই ধরে ফেলেন, ‘সেদিন কলেজের অনুষ্ঠানে “ওই ঝিনুক খোটা সাগরবেলায়” গানটা আপনিই গাইছিলেন না? খুব ভালো লেগেছে।’ শুনে মিশকাত হাসেন। শুধু গানের জন্য নয়, নাচের মধ্য দিয়েও মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের এই শিক্ষার্থী। তিনি রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
২০০৮ সালে সংগীত চক্রবর্তী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সারা দেশে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। পরের বছর শিশু একাডেমি আয়োজিত রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও নাচে-গানে পুরস্কার পেয়েছেন। একটি অ্যালবামের জন্য গান গেয়েছিলেন ২০১৪ সালে। এরপর অবশ্য নাচে সময় কম দিয়ে গানেই মনোনিবেশ করেছেন। এ বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে দেশের গান গেয়ে ‘গ’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন মিসকাত জাহান।
ক্যাম্পাসের কোনো অনুষ্ঠান মিসকাতকে ছাড়া যেন সম্ভবই না। তিনি বলছিলেন, ‘সব অনুষ্ঠানেই আমাকে থাকতে হয়। শিক্ষকেরা খুব ভালোবাসেন। তাই যে অনুষ্ঠানই হোক, সব সময় আমার ডাক পড়ে। না ডাকলেও আমি নিজ আগ্রহেই হয়ে হাজির হয়ে যাই।’ ক্যাম্পাসে সবাই তাঁকে চেনেন মিম নামে। বন্ধু আরিফ বলছিলেন, ‘মিম হলো আমাদের গানের পাখি। ওকে ছাড়া আমাদের আড্ডা জমে না। আমাদের অনেক শিক্ষক মিমকে “মেলোডিয়াস বার্ড” বলে ডাকেন।’
কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিউল হাসান বলেন, ‘মিম মানুষ হিসেবে ভালো। ছাত্রী হিসেবেও ভালো। একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে সে অতুলনীয়। সে আমাদের কলেজের সম্পদ, রসায়ন বিভাগের গর্ব। একদিন নিশ্চয়ই সে দেশের বড় শিল্পী হবে।’
মিম এখন উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিচ্ছেন। বাকি জীবনে তিনি সংগীতের সঙ্গেই থাকতে চান। ভবিষ্যতে একক অ্যালবাম প্রকাশ করা ছাড়াও দেশের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করার স্বপ্ন তাঁর। পাশাপাশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভালো ফল করতে চান তিনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন