একদিন কাচের টুকরো বেচে লাল জিলিপি খাবো
হয়তো তার অন্যথা হবে না যদি
হঠাৎ না আসে বিদ্যুতের টান
না দেয় হাতছানি
বুনো সন্ধ্যার তারা
অভাবের দিনে কানের দুলে ভবিষ্যতের ছবি
দেখতেন মা
আমার এই মুখ আঁকা ছিল, হরেক রঙের ছটা
চক্র পার করে আবার লতিয়ে পড়বো ঘাসে!
স্বপ্ন হয়তো হাওয়াই ডিঙিতে পাল তুলতে যাবে
একা…পারবে না ফুরিয়ে আসবে দম
ঘাটলা সরে যাবে, নোঙর পড়বে না…পড়বে না
হাঁসের মিষ্টি পায়ে ঠুনকো এক চাঁদ
এত জোছনা মিনতি করে যাবে!
শিশু হবো অচেনা কার কোলে!
অথবা সেই বেলা লালিমা মাখার আগে
সাগরে ডুববে,
চোখের পানি বা সোনার রেণুকা কত দাম পাবে?
বেচাকেনা শেষে মুদ্রা গুটিয়ে ঘুম
সোনার চাকতি ডুবে যাবে,
নোনাপানির এত যে তুফান, কিছুই থাকবে না?
কোন বোঝা সবচেয়ে ভারী, বোঝা যায় কিনা
চুল ভরা মাথা চুলকাতে
বেড় পায় না হাত…
প্রশ্ন ফিরে আসে, হিমবাহে ধাক্কা খাওয়া মাছ
নক্ষত্র নদীর ঘাটে মিলিয়েই তো যাবে
ভারী বোঝা বাঁকা করে দেয় ঘাড়
পারি না পারি না…
সহজ রেখায় যাবো, কোন দিকে গেছে
এই জটিলতা?
স্মৃতিগুচ্ছ অগোচরে বিছিয়ে রয়েছে নিশ্চয়!
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন