শরীরকে ফিট রাখতে কত চেষ্টাই না চলছে আজকাল। সেই ভোরবেলা ছেলে-বুড়ো সবাই মর্নিং ওয়াক করছে। কেউ বা দৌড়াচ্ছে। আজকাল তো অলিগলিতে জিম গড়ে উঠেছে। সেখানে কেউ শরীর ঘামাচ্ছে। কেউ বা ঘরে বসে যোগ ব্যায়াম করছে। এই সবই কিন্তু শরীরকে ফিট রাখার জন্য। তবে শুধুই কি মর্নিং ওয়াক, যোগ ব্যায়াম করে বা জিমে গিয়ে শরীর ফিট রাখা যায়। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় কি নেই? আছে, অবাক হলেও সেই উপায়টি হচ্ছে নাচ। আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে নাচ দারুণভাবে সাহায্য করে। তবে ব্যায়াম হোক আর নাচ হোক, তা সঠিক উপায়ে করা হচ্ছে কি না সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ডায়েটটা ঠিক আছে কি না সেটা মূল বিষয়।
ফিটনেসের মূল দরজায় যাওয়ার আগে আমাদের একটু জ্ঞানের দরজায় ঘুরে আসা ভালো। স্বাস্থ্য সম্পর্কে যেমন একটু জেনে নেওয়া ভালো তেমনি কোন ধরনের ব্যায়াম আমাদের জন্য উপযোগী তাও জানা গুরুত্বপূর্ণ। স্বভাবতই অন্য অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষের শরীর তুলনায় একটু ছোট। আবার পুরুষদের চর্বি হয় পেটে আর মহিলাদের কোমর ও নিতম্বে। আর তাই সব ধরনের ব্যায়াম সবার জন্য নয়। কেউ যদি তার শরীরের আকার ঠিক করতে চায় কিংবা তার ফিটনেস উন্নত করতে চায় তাহলে অলসভাবে হাঁটাহাঁটি করে সে তেমন কোনো উপকার পাবে না। আবার যেমন মূল ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপটা অনেকেই উপেক্ষা করে যায়। অথচ ওয়ার্ম আপটা খুবই জরুরি। ব্যায়াম থেকে সর্বোচ্চ উপকার এবং ইনজুরি থেকে দূরে থাকার বড় উপায় হচ্ছে এই ওয়ার্ম আপ। যোগ ব্যায়ামও এই ওয়ার্ম আপ থেকে দূরে নয়।
এবার আসা যাক নাচের বিষয়ে। আজকাল অনেক পরিবারে কলা ও সংস্কৃতি জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানকার মেয়েরা শিশুবেলা থেকে নাচ শিখছে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই নাচ তাদের শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করছে। বিশেষ করে ভরতনাট্যম এমন একটি নাচ, যার যোগ ব্যায়ামের সঙ্গে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত একই সঙ্গে কাজ করছে। আর তাই শরীর ফিট রাখার জন্য জিমে হোক, আর যোগ ব্যাায়াম বা নাচ হোক যেটাতেই স্বস্তি পাওয়া সেটাই বেছে নেওয়া উচিত।
টিপস
► চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে।
► সকালের নাশতাটা ভালো, রাতের খাবারটা হালকা হতে হবে।
► খাবারে ভিন্ন ধরনের স্বাদ আনতে হবে।
► সকালে খাবারে বাদাম জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
► মৌসুমি ফল ও সবজি খেতে হবে।
► একটানা এবং একইভাবে এক ঘণ্টার বেশি বসে থাকা যাবে না। এক ঘণ্টা পর পর উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
► সারা দিনের মধ্যে যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে তখনই একটু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার অভ্যাস রাখা ভালো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন