লতা-পাতায় ঘেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে
সজ্জিত নিভৃত গাঁয়ে
রাঙা পায়ে হাঁটা নববধু,
ঊষালগ্নে হাম্বা হাম্বা গরুর ডাক,
পাখিরা সরব গাছে গাছে,
নবজাতকের সুমধুর কান্নায়
মুখরিত সর্বত্র।
পুকুরের কিনারায় তরতাজা মালঞ্চ ডগায়
কিশোরীর আঙুলের ছোঁয়া,
সাদা বক সরোবরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রতীক্ষায়,
কাকগুলো কা কা কর্কশ স্বরে মাতিয়ে তোলে,
শিশুরা হৈচৈ করে খেলছে নগ্ন হয়ে,
সুন্দরতম প্রাকৃতিক শোভার সমারোহ।
হাসনাহেনা, শিউলী, বেলী, চাঁপা
আরো কত ফুলের গন্ধে পাগল হয়ে যাই,
ফুলে-ফলে ভরা গ্রামখানি,
দুঃখ-কষ্টের লেশ মাত্র নাই,
শুধু সুখ আর সুখ,
সুখের সীমা নাই।
যখন সন্ধ্যা নামে,
সবাই ফিরে আসে ঘরে,
পাখিরা নীড়ে,
নীরব প্রকৃতির বুকে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
এতো আনন্দ, এতো শান্তি
দেখি নাই কোন কালে,
এতোসব ম্লান করে দেয়
গভীর রাতে প্রোষিতভর্তৃকার দীর্ঘশ্বাস।
আমার কবিতাখানি উৎসর্গিত তার জন্য,
কিছুটা লাঘব হলেও হতে পারে
হৃদয়ের যন্ত্রণা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন