দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। অপরদিকে সরকারি চাকরিতেও শূন্যপদের সংখ্যা লাখ লাখ। সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো বৃদ্ধি হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় চাকরির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে চাকরিপ্রত্যাশীদের। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার চাকরির পরীক্ষার হিড়িক দেখেই তা অনুমেয়।
তবে একইদিনে একাধিক পরীক্ষায় শিডিউল পড়ে যাওয়ায় একজন আবেদনকারী একাধিক অবেদন করেও শুধুমাত্র একটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।
টাকা খরচ করে আবেদন এবং প্রস্তুতি থাকলেও একাধিক চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করতে পেরে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারি চাকরিতে একদিকে কোটা, অন্যদিকে একাধিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হওয়ায় কোটা সংস্কার এবং চাকরিতে প্রবেশের আন্দোলনের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জোরালো হয়েছে।
বছরের শুরু থেকে প্রথম তিন চার মাস সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া গতি পায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়। শুধুমাত্র চলতি এপ্রিল মাসেই অন্তত অর্ধশত চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
ফেসবুকে পাওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে সরকারি চাকরির পরীক্ষা ৪৩টি। এরমধ্যে একদিনই রয়েছে ১২টি। অরেকদিন ৮টি পরীক্ষা রয়েছে। গত ২০ এপ্রিল সকালে জীবন বীমা কর্পোরেশনের জুনিয়র অফিসার, সোনালী ব্যাংকের অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষা, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদ, ২০১৪ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য সেবা কর্মকর্তা পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
একইদিন বিকেলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর বিভিন্ন পদ, বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তরের কারা সহকারী, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন