নিত্যদিনের রূপচর্চায় নিম, হলুদ, চন্দন, ঘৃতকুমারীর মতো কত জিনিসই না ব্যবহার করি আমরা। সেই সব জিনিস নিয়ে বেশ কিছু ধারণা রয়েছে আমাদের মাঝে। তবে জানেন কি প্রচলিত এসব ধারণায় বিশ্বাসের কারণে আপনার ত্বক ও চুলে হতে পারে বড় ধরনের ক্ষতি? এই যেমন হলুদ মেখে গোসল করলেই উজ্জ্বল হবে ত্বক, এটা একেবারেই ভুল ধারণা। বরং হলুদ বাটা দিয়ে গোসল করে রোদে বের হলেই পুড়ে যাবে আপনার ত্বক, এমনটাই বললেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপ বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন। রূপচর্চার উপকরণের এমনই কিছু ভুল ধারণা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই এবার।
হলুদ
হলুদ মাখলেই ত্বক হয়ে উঠবে হলুদের মতো উজ্জ্বল, এমন ধারণা প্রচলিত আছে অনেকের মাঝে। হলুদ মেখে বাইরে বের হলেই ঘটবে কিন্তু এর উল্টোটা। রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাবে ত্বক। তাই সরাসরি কাঁচা হলুদ বাটা নয়, কাঁচা হলুদের রসটুকু বের করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধের সর বা চীনা বাদাম বাটা এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে।
গ্লিসারিন
গ্লিসারিন
গ্লিসারিন যে শুধু শীতকালে ব্যবহার করা যায়, তা কিন্তু নয়। গরমকালেও ত্বক সুরক্ষায় কাজে দেবে গ্লিসারিন। এ জন্য অবশ্য এক ভাগ গ্লিসারিনের সঙ্গে চার ভাগ পানি মিশিয়ে নিতে হবে।
ক্যাস্টর ওয়েল
ক্যাস্টর ওয়েল
যাদের আই ভ্রু পাতলা তাদের একটা গভীর বিশ্বাস আছে যে ভ্রু তে ক্যাস্টর ওয়েল লাগালেই বুঝি ঘন হবে ভ্রু। এই ধারণাটাও ভুল। অনেক দিনের বাসি ক্যাস্টর ওয়েল যেটা ব্ল্যাক ক্যাস্টর ওয়েল নামে পরিচিত, তা লাগালেই শুধু ঘন হবে ভ্রু। এই ক্যাস্টর ওয়েল মিলবে শুধু যারা ক্যাস্টর ওয়েল বানায়, তাদের কাছেই।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
অনেকেরই ত্বক উজ্জ্বল করতে সরাসরি ত্বকে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে থাকেন। অ্যালোভেরায় একধরনের এনজাইম থাকে, যা ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। এ জন্য অ্যালোভেরা সরাসরি না লাগিয়ে ত্বকের সঙ্গে মানায় এমন উপকরণের সঙ্গে লাগাতে হবে।
নিমপাতা
নিমপাতা
নিমপাতা পুরোপুরি ব্রণের দাগ দূর করতে পারে না। বরং ব্রণ হলে সেই জায়গায় নিমপাতার পেস্ট লাগালে ব্রণ বড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।
তিলের তেল
তিলের তেল
ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে তিলের তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে তবেই তা কাজে দেবে। অন্যথায় সরাসরি তিলের তেল ত্বকে ব্যবহার করলে কখনোই তা কাজে আসবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন