স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার-সন্তান নিয়ে অকুল সংকটে পরে জীবিকার জন্য বেছে নেন কৃষিজমিতে কামলা দেয়া। কিন্তু সেখানেও সংকট। তবে দমে যাননি। এরপর তাঁত বুননের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন তেমনি এখন অন্য নারীদের বিনাপয়সায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন খাগড়াছড়ির জ্যোতিকা চাকমা। তার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টায় অনেক নারী।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম গ্রামের জ্যোতিকা চাকমা। স্বামীর মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে যে নারী মাস কয়েক আগেও কৃষি কাজ করতেন সেই নারী এখন এলাকার অন্য নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের কারিগর।
বয়স বেড়ে যাওয়ায় কৃষি কাজে শ্রম দিতে না পাড়ায় গত জুলাই মাসে বিকল্প পেশা হিসেবে তাঁত বুননের উপর প্রশিক্ষণ নেন জ্যোতিকা। এরপর পাল্টাতে শুরু করে তার জীবনের গল্প। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তোলেন একটি তাঁত বুনন ঘর। বিনামূল্যে এলাকার নারীদের সেখানে দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
তিনটি বুনন যন্ত্র দিয়ে শুরু করা জ্যোতিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত আট নারী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁতে বুনে বিভিন্ন হস্তশিল্পের চাহিদা থাকায় তাদের দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই কাজে।
জ্যোতিকা চাকমার এমন উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী। তার এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
নারীর কল্যাণে কাজ করে যাওয়া জ্যোতিকা চাকমার এমন উদ্যোগের স্বপ্নসারথী তার পরিবারের সদস্যরাও।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন