চেনাজানা কয়েক পাথর আছেন—
দ্বীপের দুকূলে সাজানো
—ধলবক—আ-বিকেল এত শোভা!
কী নাম, কোথায় ঠিকুজি
একটু কেউ রঙ মেখে চলে গেছে
এক কোণে—
পান খাওয়া পরিশিষ্ট চুনে
—কিংবা, অবজ্ঞায়
ওতেওবা এমন কী এসে যায়
উদ্বেগের চেয়ে বেগ এত
স্বচ্ছতা চালিত
এই স্রোতে শ্যাঁওলা জমবে না
এত ভালো এত সোজাসুজি
আকাশও দেখিনি
কালিমেঘ ধুয়ে বলে, এসো—
ছড়াবো বিদ্যুৎ
কয়েক খণ্ডে সম্পাদিত
এই যে প্রাণকোষ
একেক প্রতিমা দেখি, খুবই আন্তরিক
—হায় পানি, তোমার প্রকৃত আইডি
সরলতা
যেন লতা, গাছের সবল কাণ্ডে
কেবলই জড়ানো
কোথায় যাচ্ছে অপৃষ্ঠালিখিত নদী
রোদের পরতে রেখে
সঙ্গমের ফেনা!
বন্ধু তারা, বাল্যে চিনেছি
প্রথম সাক্ষাতে
না-লেখা ভাষার গাঁথুনিতে
কবিত্বের বাজনা এত বাজে!
বাক্যাবলি আবৃত্তি করি
ঘন মনোযোগে—
তারা হচ্ছেন নীরবতা
এত শ্রেষ্ঠ কথকও দেখিনি
নীরবতার ধ্বনি বিস্তারিত
যেকোনো দ্রাঘিমা রেখায়
স্পষ্টই শোনা যাবে
যেমন এখন—পাথরকেও শুনতে পাচ্ছি
আবৃত্তিও করা যাবে
—হয়তো করবো না
আর্তনাদরত খণ্ডকয়েক ভেজা পাথর
বিদায় নিতে হবে—সাময়িক
বিবরণের আন্তরিক ঘাত
দিতে পারে সকলই ভিজিয়ে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন