দেশে দিনকে দিন পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। আর অন্যদিকে পুরো মাস হিসেব করে চলা মধ্যবিত্ত বাঙালি হঠাৎ পেঁয়াজের এই লাগামছাড়া দাম দেখে পড়েছেন মুশকিলে। তাই বাজারের তালিকা করতে তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কিন্ত রান্নায় ঠিক কতটা পেঁয়াজ ব্যবহার করা জরুরি? অনেক পেঁয়াজ ব্যবহার করলেই কি রান্না মজার হবে, অল্প পেঁয়াজে খেতে সুস্বাদু হবে না?
অল্প পেঁয়াজ ব্যবহার করেও রান্না সুস্বাদু করা যায়। এতে স্বাদ কিংবা পুষ্টির ঘাটতি হয় না। কিন্তু কিভাবে? তবে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়-
১. কাটা পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করার বদলে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে তরকারি রান্না অভ্যাস করুন। এতে অল্প পেঁয়াজ দিয়েই বেশ সুস্বাদু তরকারি রান্না হবে।
২. পাতলা ঝোলের তরকারি খাওয়া বেশ ভালো। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। আর ঘন ঝোল খেতে চাইলে আলু সেদ্ধ করে মিহি করে চটকেও ব্যবহার করতে পারেন ঝোল ঘন করতে। এমনকি ভুনা তরকারিতেও দিতে পারেন।
৩. প্রতিদিনের রেসিপিতে বিভিন্নরকম ভর্তায়, ডিম ভাজিতে আমরা পেঁয়াজ কুচি ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ মোটা করে না কেটে চিকন করে কুচি করুন। এতে পেঁয়াজ অনেক কম লাগবে।
৪. ডাল রান্না করতে গিয়ে অনেকে শুরুতেই অনেকটা পেঁয়াজ দেন, পরে আবার পেঁয়াজ দিয়ে ফোড়ন দেন। শুরুতে পেঁয়াজ দেয়ার কারণে ডালের যে স্বাদ বৃদ্ধি হয় এমনও নয়। তাই ডালে পেঁয়াজ খেতে চাইলে কেবল ফোড়নে দেয়াটাই যথেষ্ট। পেঁয়াজ ছাড়া কেবল রসুন ও মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিলেও ডাল সুস্বাদু হবে।
৫. পেঁয়াজু, ডিম ভাজি ইত্যাদি তৈরিতে পেঁয়াজের বদলে ব্যবহার করতে পারেন পেঁপে। হ্যাঁ, চিকন করে পেঁপে ঝুরি করে, পানিতে ভালো করে ধুয়ে চিপে নিলেই ব্যবহারের জন্য একদম তৈরি।
৬. সবজি ভাজি করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো পেঁয়াজের বদলে অল্প পেঁয়াজ ব্যবহার করুন। কারণ পেঁয়াজ বেশি দিলেই ভাজির স্বাদ বাড়ে না। বরং ভাজি সুস্বাদু করতে তেল গরম হলে কাঁচা মরিচের ফালি ও অল্প পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন, নেড়েচেড়ে গন্ধ ছড়ালে সবজি দিয়ে দিন এবং আপনার রেগুলার রেসিপি অনুযায়ী ভাজি করুন।
৭. মুরগির ঝোল একটু ঘন করতে বেশি পেঁয়াজ ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। বরং ঝোল ঘন করতে মুরগিতে কয়েক টুকরো পেঁপে দিয়ে রান্না করুন। বেশি পেঁয়াজ ছাড়াই সুন্দর ঝোল হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন