উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর।মাধ্যমিক স্তর থেকেই সে তার স্বপ্ন বুনতে থাকে।উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সে নিজকে আরো বেশি যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
এ জন্য এ দেশের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে তাকে মুখোমুখি হতে হবে যুদ্ধের! হ্যা যুদ্ধই, তবে তা ভর্তিযুদ্ধ।
ভর্তি নামক এই মহাযুদ্ধের কথা শুনে অনেকেই নিরাশ হয়ে যায়।একটি সিটের বিপরীতে ৪০-৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে! এ রকম তীব্র প্রতিযোগিতার কথা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীদের হয়তো অনেকেই জানতো না।
এবার উচ্চমাধ্যমিক ও সমমনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে মোট পাশ করেছে ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নূ্্যনতম জিপিএ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাদ পড়বে অনেকেই।
সারাদেশে ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সিটের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার।আর ও বছর উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬২ জন।সে হিসেবে তুলনামূলক কম জিপিএ নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই পাবলিকে চান্স পাবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের প্রথম পছন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে মানবিক শাখা শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া স্বপ্নের মতো ব্যাপার।ভর্তি পরীক্ষার কোনো নির্দিষ্ট সিলেবাস না থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ভর্তিচ্ছুরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে।
মানবিকের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মানবিক শাখা থেকে যারা ভর্তিচ্ছু তাদের জন্য কতিপয় পরামর্শ :
১. জিপিএ কম তাই বলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। তুমি একটু খোজ নিয়ে দেখতে পারো বিগত বছরগুলোতে কম জিপিএ নিয়ে অনকেই চান্স পেয়েছে।(যদিও ঢাবিতে জিপিএ এর উপর অনেক মার্কস।)
২. তুমি ভালো কলেজের ছাত্র না।তুমি গ্রামে থাকো। তুমি কোচিংয়ে ভর্তি হতে পারো নাই।এ রকম অজুহাত দিয়ে ভর্তিযুদ্ধ থেকে পিছিয়ে পড়োনা।বরং আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম থাকলে তোমার চান্স ঠেকাবে কে?
৩. বই আর শীটের ভীড়ে হারিয়ে না গিয়ে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি বই পড়ে চান্স পাওয়া সম্ভব।বিশেষ করে ইংরেজীর জন্য English for competitive exam,Apex অথবা compact এর যোকোনো একটি বই টপিকভিত্তিক ভালো করে পড়লে হবে (English for competitive exam বইটি আমি পড়েছি)। আর ইংরেজী ১ম পত্রের জন্য Text panacea বইটি তোমাকে দারুন সহযোগীতা করবে।
৪. বাংলার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র বইটি ভালো করে পড়বে। আর মাধ্যমিকের বাংলা ব্যাকরণ (মুনীর চৌধুরী) বইটি পড়লে যথেষ্ট।
৫. mp3 সাধারণ জ্ঞান বইটি হতে যে সমস্ত টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসে (যেমন -স্থাপত্য,ভাস্কর্য ইত্যাদি) সেগুলো পড়তে হবে। আর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো তো পড়বে নিশ্চয়ই।আর চোখ রাখো সাম্প্রতিক বিষয়াবলীতে।
সময় খুবই কম। প্রতিটি মূহুর্তকে কাজে লাগাও। স্রষ্টার কাছে চাও।যদি ভাগ্য সহায় হয় তাহলে দেখা হবে ঢাবির মল চত্ত্বর,টিএসসি,বটতলা কিংবা মুহসীন হলের গার্ডেনে...।
লেখকঃ শিক্ষার্থী,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন