পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপ নিয়ে চীন যাচ্ছেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) বাগেরহাটের ১০ শিক্ষার্থী। আগামী ৪ অক্টোবর তারা চীনের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করবেন। স্কলারশিপপ্রাপ্ত ওই শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ অক্টোবর জিয়াংসু মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে ক্লাস শুরু করবেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, মো. খোরশেদ আলম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. ইউসুব আলী, মো. রায়হান উদ্দিন রাফি, লিখন ইসলাম, মো. পিয়াস আহমেদ, মকবুল হোসাইন, আশিকুর ইসলাম, মো. নাইমুজ্জামান ইমরান ও মো. আল আমিন। তারা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেডে ডিপ্লোমা লেভেলে পড়াশুনা করবেন।
চীনে স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা জানান, পরিবারের সবাই অনেক খুশি হয়েছেন। স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছি এজন্য আমাদেরও অনেক আনন্দ লাগছে। বাংলাদেশে মার্চেন্ট শিপ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান দেশের মার্চেন্ট শিপের উন্নয়নে লাগাতে চাই। এছাড়া জাহাজ শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।
এসময় তারা আরও বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার ও হাফিজ জামান স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের চীন যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্যার শুধু আমাদেরই না, অন্যান্য মেরিন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদেরও সাহায্য করে থাকেন। স্যারদের শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের চলার পথে কাজ করবে।
স্কলারশিপপ্রাপ্ত সাব্বির হোসেন জানান, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল জাহাজে করে পৃথিবী ঘুরব। স্বপ্ন পূরণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে খুব ভালো লাগছে। স্কলারশিপ পেয়ে বিনা খরচে যেতে পারাটা আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী এমডি শামীম হোসাইন বলেন, আমরা সবসময় চাই, শিক্ষার্থীরা ভাল কিছু করুক। সে অনুযায়ী আমরা শিক্ষার্থীদের সবধরনের পরামর্শ ও সেবা দিয়ে থাকি।
আমরা চাই ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপ পাক। সে চেষ্টার অংশ হিসেবে এ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শিক্ষার্থী চীনের জিয়াংসু মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে যাচ্ছে। যা দেশে বিদ্যমান আইএমটিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। আশা করি, স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা পেশাগত জীবনে ভাল করবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন