‘ইউএন ইয়ং চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ’ প্রতিযোগিতায় এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চল থেকে চূড়ান্ত পর্বে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২২ বছর বয়সী তরুণ প্রযুক্তি ও গণিতবিদ জাহিন রোহান রাযিন। প্রতিবছর পরিবেশ সচেতন মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তা, যারা তাদের আইডিয়া দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে তাদের এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।
এ বছর এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার মোট ৩৫ জন তরুণকে এই পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে। রাযিন তার ‘কোয়ান্টাম পলিটেকমিক্স বায়োটেকনোলজি’ প্রজেক্ট আইডিয়ার স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিযোগিতায় এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে মনোনীত হয়েছেন।
তার প্রতিষ্ঠিত ‘কোয়ান্টাম পলিকেমিক্স’ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে নন-টক্সিক, অর্গানিক পলিহাইড্রক্সিয়ালকোনোট (পিএইচএ) ভিত্তিক বায়োপলিমার উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে যা পুরোপুরি পরিবর্তনযোগ্য ও পরিবেশে মিলিয়ে যায়। প্রকল্পটি বর্তমানে পাট কারখানার ও মিলগুলো থেকে ফেলে দেওয়া জুট ডাস্ট দিয়ে বায়োরিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে ন্যানো-ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে সিনথেটিক বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করছে। এর মাধ্যমে তৈরি পলিমার পণ্যগুলো মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তরল পদার্থে এবং এক মাসের মধ্যে মাটিতে মিশে যায়। এসব পণ্য প্লাস্টিক পলিব্যাগ, প্যাকেজিংয়ে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৯ ও ১৪ অভিষ্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ প্রযুক্তি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার লক্ষের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বায়ো-ভিত্তিক অর্থনৈতিক যুগের প্রচলনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।
মাত্র ২২ বছরের এই তরুণ উদ্যেক্তার আরও কয়েকটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগ আছে যা পানি নিরাপত্তা ও উন্নয়ন, ভাষা শিক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে। তিনি ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ ও রেজ্যুলিউশন প্রজেক্টের সহযোগী হিসবেও কাজ করছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন