৯ অক্টোবর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’। স্বাধীনতার পর ‘সেবাই আদর্শ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে প্রাচীন এই সেবার প্রতি মানুষের আগ্রহ যেমন কমেছে সেই সঙ্গে কমেছে সেবার মানও। তবে আশার কথা বললেন এই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘প্রতি মাসে আমার ঘাটতি ছিল ৪-৫ কোটি টাকা, আর বছরে ছিল ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা। যে ঘাটতিকে আমি জিরোতে নামিয়ে এনেছি। আমি আশা করছি, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ফান্ডে কয়েক কোটি টাকা জমা করতে পারবো।’ অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসা এই অধিদপ্তর নিয়ে মহাপরিচালকের এই বক্তব্যে আশার আলো দেখছে ডাক বিভাগ।
উল্লেখ্য, আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে চেষ্টা চালাচ্ছে এই অধিদপ্তর। বুধবার ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকঘরকে যুগোপযোগী করার কাজ শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী ডাক অধিদপ্তরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও বিশাল জনবলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসকে দৃষ্টান্তকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন