ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাওয়ার টেকনোলজি বিষয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কনক কর্মকার। পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে হলেও নোয়াখালীতে স্থায়ীভাবে থাকছে তাঁর পরিবার। কনক এরই মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চারবার নাম লিখিয়েছেন! গিটার, বাস্কেটবল, ফুটবল দিয়ে নানা রকম কসরত দেখিয়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন কনক। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের কাছে তাই তাঁর একটা আলাদা পরিচিতি আছে।
২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি কপালের মাঝখানে ১ হাজার ১৫০টি কাগজের কাপ রেখে প্রথম রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর ২৫ মিনিট গিটার কপালে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের একজনের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন তিনি। কনকের তৃতীয় রেকর্ড ছিল ১ মিনিটে ৩৬ বার বাস্কেটবল ঘাড় থেকে হাতে আর হাত থেকে ঘাড়ে নেওয়া। থুতনিতে গিটার রেখে যখন পার করে ফেললেন ১৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড, সেই থেকে চারটি রেকর্ড তাঁর দখলে!
ইউটিউব দেখে দেখেই এসব শিখেছেন কনক কর্মকার। বলছিলেন, ‘শুরুতে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইল করি। আড়াই মাস পর তারা মেইলের জবাব দেয়। কীভাবে ভিডিও করে তাদের পাঠাতে হবে, সেসবের নির্দেশনা দেওয়া ছিল সেই মেইলে। পরে আমি ভিডিও পাঠালে মাসখানেক পরে তারা জানায়, আমি আগের রেকর্ডটি ভাঙতে পেরেছি।’
শুরুতে পরিবারের সদস্যদের সহায়তা পাননি। সবাই বলত, কী হবে এসব করে! কনক বলছিলেন, ‘এখন সবাই মোটামুটি আমার রেকর্ডের মর্ম বোঝে। গ্রামের বাড়ির লোকজনও খুশি। কলেজের টিচার, বন্ধুরা আমার কথা বিশ্বাস করত না। এখন করে। আমাকে সাহায্যও করে সবাই।’ ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি ১০টি রেকর্ড করতে চান। সৌজন্যে- প্রথম আলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন