অ্যালার্জি ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে
কোমল পানীয়তে থাকে সোডিয়াম বেনজোয়েট। সোডিয়াম বেনজোয়েট খাবারে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটা খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায়, পটাসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। সোডিয়াম বেনজোয়েট শরীরে অ্যালার্জি, র্যাশ, একজিমা ও হাঁপানির প্রকোপ বাড়ায়।
কিডনির পাথর
কোমল পানীয়তে থাকে ফসফরিক এসিড, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করে এবং অন্যান্য কিডনির অসুখ বাধায়।
স্থূলতা
গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় স্থূলতা, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় ৭০ ভাগ, স্তন ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ৪২ ভাগ আর পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বাড়ায় ৩০ ভাগ।
দাঁতের এনামেল ক্ষয়
কোমল পানীয়তে যে সুগার ও এসিড থাকে, তা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। ফলে স্নায়ুগুলো সহজেই আক্রান্ত হয়, দাঁত শিরশির করে। দাঁতের গোড়ায় পুজ বা ফোড়াও হতে পারে, এমনকি দাঁত একেবারে নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস
কোমল পানীয়তে থাকে উচ্চ মাত্রায় ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। গবেষণায় দেখা গেছে, এই উচ্চ মাত্রার ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
অস্টিওপরোসিস
কোমল পানীয়তে থাকে ফসফরিক এসিড। ফসফরিক এসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। ফলে শরীরে ও হাড়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়রোগ হয়।
ডায়াবেটিস
যারা নিয়মিত কোমল পানীয় খায়, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় ৮০ শতাংশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন