প্রথমবারের মতো কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করে বিজ্ঞানী মহলে সাড়া ফেলেছেন বাংলাদেশি তরুণী আয়েশা আরেফিন টুম্পা। ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে তিনি প্রথম কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেছেন। খবর দ্যা ডেইলি স্টার, ওমেন্স ওয়ার্ড, দ্যা আটলান্টিক, এলএএনএল।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক ক্রিস ডেটার ও তাঁর সহকর্মী ল্যান্স গ্রিনের সহযোগিতায় আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পান।
আয়েশা আরেফিন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখানে ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার অপ্টোজেনিক্স সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য আয়েশাকে নিয়োগ দেন।
অপ্টোজেনিক্স হচ্ছে জিন বিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়বিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব।
আয়েশা ও রাশি আইয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন। গবেষণা করে তারা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুসও তৈরি করেন।
অবশ্য তাদের উদ্দেশ্য ছিল, Chronic Obstructive Pulmonary Disease এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা ও এর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা। আয়েশা আরেফিন একই সাথে বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধি ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়েও গবেষণা করছেন।
আয়েশা আরেফিন বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট করছেন। একই সাথে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতেও চলছে তার গবেষণা।
আয়েশা আরেফিনের এমন সাফল্য বাংলাদেশে নানা প্রতিকূলতার মাঝে নারীদের এগিয়ে চলার পথে অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন