মার্ক জাকারবার্গের হাতে জন্ম নেয়া বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এটি তৈরি করা হয় শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহজ যোগাযোগের জন্য।
পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের নাম, ঠিকানা, ছবি ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা থেকেই তার হাতে জন্ম নেয় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া, ছবি আপলোড, চ্যাটিং, হোমপেজ ব্রাউজিং করতে করতে কেটে যাচ্ছে অনেক সময়। বর্তমানে শিশুদের খাওয়াতে গেলেও ফোনে ভিডিও দেখিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে। এতে করে খাবারে অনীহা তৈরি হচ্ছে, শিশুরা হয়ে যাচ্ছে অমনোযোগী। আর তরুণ প্রজন্ম এতে বহু অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নানা ধরনের ছবিও ভাইরাল করা হচ্ছে।
আর যারা ভুক্তভোগী, তাদের পোহাতে হচ্ছে নানা ধরনের প্রতিকূলতা। অনেকেই ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা না পেয়ে সুইসাইড করছে। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা।
সহজলভ্য যোগাযোগের ফলে পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক বাড়ছে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ তৈরি হচ্ছে। ডিভোর্সের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। সম্পর্কে তৈরি হচ্ছে ভাঙন। আর এর জন্য দায়ী সহজলভ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। স্কুল-কলেজ, আদালত, বাস, ট্রেনসহ যানবাহনে চড়েও আমরা এর নিয়মিত অপব্যবহার করছি। এতে করে ঘটে যাচ্ছে নানা দুর্ঘটনা। ফেসবুকে আসক্ত হয়ে চালকরাও দিন দিন অসচেতন হয়ে পড়ছে।
বর্তমানে এটি মারাত্মক নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকে ঢুকলে আর বের হতে চায় না। এটি ‘ডিজিটাল কোকেন অ্যাডিকশনের মতো হয়ে গেছে। আমাদের উচিত, এই কৃত্রিম জগৎ থেকে বের হয়ে মুক্ত স্বাধীনভাবে বাঁচার পথ খোঁজা।
অবসরে বই পড়া, বাগান করা, নিজেকে বেশি সময় দেয়া ইত্যাদি। এতে করে তরুণ প্রজন্ম নিজেকে বিকশিত করার যেমন সুযোগ পাবে, তেমনি অপরাধের জগৎ থেকেও বের হতে পারবে। বর্তমান অবস্থার থেকে উত্তরণে প্রয়োজন সামাজিক বিপ্লব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন