একটা সময় ছিল যখন ভোরবেলা তরুণদের ঘুম ভাঙত মোরগের ডাক আর পাখির কলকাকলীতে। কিন্তু এখন রাতজাগা তারুণ্যের পরের দিন সঠিক সময়ে ঘুম ভাঙাতে একমাত্র ভরসা মায়ের বকাঝকা বা অ্যালার্ম ঘড়ির ক্রিং ক্রিং শব্দ। সে ক্ষেত্রে তারুণ্য আজ ঘড়ির কাঁটার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। কর্মব্যস্ত জীবনে ঘুম থেকে ওঠা, ক্লাস, কোচিং বা মার্কেটে যাওয়া—এ সবকিছুই নির্ধারণ করা হয় ঘড়ি দেখে। তাছাড়া তরুণ-তরুণীদের নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড হিসেবে ঘড়ি অপরিহার্য। ছোটরাও এ ফ্যাশনে পিছিয়ে নেই। জন্মদিন, বিয়ে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখনও ঘড়ি পরে ফ্যাশনপ্রিয় তারুণ্য। যাই হোক প্রয়োজন ছাপিয়ে তরুণদের জন্য চাই ফ্যাশনেবল ঘড়ি। বলতে গেলে এখন বিলাসদ্রব্যের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে অনেক বিখ্যাত কোম্পানির ব্যয়বহুল ঘড়ি।
আধুনিক যুগের স্মার্ট তরুণরা চেইন ক্রিস্টাল পাথর ও বেল্টের ঘড়ি পড়েন। এগুলো দেখতে কিছুটা ব্রেসলেটের মতো লাগে। বর্তমানে তরুণরা বেশ ব্র্যান্ডসচেতন হয়ে উঠেছে। আর ফ্যাশনসচেতন তরুণদের কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন ব্র্যান্ড ঘড়ি তৈরি করছে। দেশের বড় বড় শপিং মল থেকে শুরু করে রাস্তার ফুটপাতের দোকানেও ঘড়ি পাওয়া যায়। তবে আপনাকে মানসম্পন্ন ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি কিনতে হলে বিশ্বের নামকরা সব ব্র্যান্ডের শোরুমে যেতে হবে। আমাদের দেশের পাওয়া যায় এমন কিছু আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড হচ্ছে পিররে ডুরাল্ড, ফিনিপ পাটেক, পিরের কার্ডন, রোলেক্স, লনজিন্স, সিটিজেন, সিকো, ফাস্ট ট্র্যাক, টাইটন, ওমেগা, রোমানসন ইত্যাদি।
হাত ঘড়ির দাম ব্র্যান্ড এবং মানের উপর নির্ভর করে। এক হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকার ঘড়িও আমাদের দেশের ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। তবে যারা কম দামে ঘড়ি কিনতে চান তারাও কিনতে পারেন ২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।
খেয়াল করুন আপনার হাত মোটা হলে চিকন বেল্টের ঘড়ি মানাবে। হাত যদি চিকন হয় সেক্ষেত্রে চওড়া বেল্টের ঘড়ি মানাবে। যারা পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে ঘড়ি পড়তে চান তারা ফ্যাশনেবল একাধিক ঘড়ি সংগ্রহে রাখতে পারেন। আসলে পোশাকের সঙ্গে মানানসই একটি ঘড়ি আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশে অনেকখানি সহায়তা করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন