ঘোর অমানিশায় আজ গোটা দেশ হাবুডুবু খাচ্ছে।চারিদিকে শুধু দলাদলি,হানাহানি,মারামারি,খুন সহ নানাবিধ সমস্যা লেগেই আছে। দেশের প্রতিটা মানুষকেই একটা অদৃশ্য আতংক বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।কখন কোথায় কি হয় কিছুই বলা যায় না।
ভোরবেলা ঘর থেকে বিদায় নিয়ে কর্মব্যস্ততা শেষ করে আবার ঠিকঠাক মতো যে ঘরে ফিরে আসতে পারবে তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে?
তবে এতসব হতাশার মাঝেও আমরা আশার বীজ বুনতে চাই।
বাংলাদেশ।বিশ্বের মাঝে একটি সম্ভাবনাময় দেশ।এখানে কোটি কোটি তারুণ প্রজন্ম দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা লালন করে।এই দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।দেশের যেকোনো প্রান্তে মানবতা বিরোধী কিংবা সামাজিক ত্রুটিবিচ্যুতিতে তারা কষ্ট পায়।আবার কোথাও কোন খুশির সংবাদে এদের চোখদুটো আনন্দাশ্রুতে ভরে ওঠে।এই তরুণ প্রজন্ম নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু করতে উদ্যমী হয়।এটি অনেক বড় আশার দিক।
এই তরুণ প্রজন্মেই আমাদের শক্তি।আমাদের স্বপ্ন। আমাদের প্রেরণা।যখন ওরা বিশ্বের নানাবিধ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে পুরস্কার পেতে দেখি,যখন এই তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে কাউকে নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন করতে দেখি,যখন এই তরুণ প্রজন্মকে গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে দেখি,যখন এই তরুণ প্রজন্মকে দেশের সম্মানের প্রশ্নে জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখি,
যখন পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় এই তরুণ প্রজন্মের ভালো কোন কাজের খবর দেখি বড় খুশি হই।আমাদের বড় ভালো লাগে।আহ্লাদিত হই।আশাবাদী হই।
আমাদের তরুণ প্রজন্মরা বিশ্বের যেকোনো উত্থান-পতনের সাথে শরিক হতে চায়।
এই অসুস্থ সমাজে বাস করেও এরা সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে।যখন হাত বাড়ালেই নেশার দ্রব্যাদি সহজভাবেই পাওয়া যায়,একটু এদিক ওদিক হলেই খারাপ পথে যাওয়া যায় তবুও তারা নিজেদেরকে ভালোর পথে রাখতে সদা তৎপর।ওদের এগিয়ে যাওয়ার পথে শত্রুরা দমিয়ে রাখতে চেষ্টার কমতি করছে না।শত্রুরা ওদের নেশার জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়,ওদের অলস ও নিষ্কর্মা বানাতে চায়,ওদের চলার পথে নানাবিধ ভয় প্রদর্শন করে।ভয় দেখাতে চায়।
সব বাধাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে ওরা এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।কাঙ্ক্ষিত ভোর ওরা ছিনিয়ে আনতে চায়।ওরা শপথ নেয়,এই তরুণ প্রজন্ম বেঁচে থাকতে কেন দেশ কাঁদবে? কেন না খেয়ে মরবে? কেন বিনা বিচারে অপরাধীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াবে? কেন নির্যাতিত অসহায়দের আর্তনাদে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হবে?
কেন অসহায় মা-বোনগুলো নিজেদের ইজ্জতহানির ভয় করবে? এসব কেন হবে?
এই "কেন" প্রশ্নটা সর্বদা তরুণ প্রজন্মকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ওরা হাল ধরতে চায়।
হ্যাঁ ওদেরকেই হাল ধরতে হবে।ওদেরকে জাগতেই হবে।স্বপ্নিল দেশ গড়তে ওদের জেগে ওঠা খুবই জরুরি।
সবরকম বিপদআপদ,দৈন্য দুর্দশাকে উপড়ে ফেলতে হবে।শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিজেদের উপস্থাপন করতে হবে।শক্ত হাতে গড়তে হবে তারুণ্যের পথ।এই পথ দিয়েই তো আগামীর সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
.
গল্পকার,শিশু অধিকার কর্মী
শিক্ষার্থীঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন