বেশ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন্সের পরিবেশ পর্যটকদের অযাচিত কর্মকাণ্ডের কারণে নষ্ট হচ্ছে অভিযোগে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী মার্চ মাস থেকে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে পর্যটকদের রাতযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। তবে সেন্ট মার্টিন্সে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের বিষয়টি বহাল থাকছে।
স্থানীয়দের কর্মসংস্থান ও বিভিন্ন হোটেল-মোটেল বিনিয়োগকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বসবাসকারীদের কর্মসংস্থান এবং সেখানে ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সেন্ট মার্টিন্সে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ করা না হলেও সেটা সীমিত করা হবে। কারণ দ্বীপটির স্থানীয়দের কর্মসংস্থান মূলত বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ঘিরেই চলে আসছে। এছাড়া সেখানে অনেক হোটেল-মোটেলে বিনিয়োগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। পর্যটকদের রাতযাপন হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ কারণে বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করা হচ্ছে। দ্বীপসংশ্লিষ্টদের পুনর্বাসনের পরই রাতযাপন বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন্স যেতে চাইলে আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে হবে এ রেজিস্ট্রেশন। এ জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা হবে। সেন্ট মার্টিন্সে কারা যাচ্ছে তার তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া একই পর্যটক বারবার দ্বীপটিতে যেতে পারবেন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন