সম্প্রতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ক্যারিয়ার্সহাব বাংলাদেশ আয়োজিত 'গ্লোবাল ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ মাস্টারক্লাস উইথ সাকসেস কোচ হেমি হোসেইন'। ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬০০ জন।
ক্যারিয়ার্সহাব বাংলাদেশের আমন্ত্রণে উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন করপোরেট ট্রেইনার, বিজনেস কোচ এবং ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনার হেমি হোসেইন। এছাড়াও তিনি একজন ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার লেখক। তার বই 'ফায়ার ইউর বস' বেশ সমাদৃত হয়েছে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং এটি এখন একটি ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলিং বই। এছাড়াও তিনি নিজ হাতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে তৈরি করেছেন ৩০০ এরও বেশি ডিজিটাল উদ্যোক্তা।
'গ্লোবাল ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনারশীপ মাস্টারক্লাস উইথ সাকসেস কোচ হেমি হোসেইন' মাস্টারক্লাসটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মাস্টারক্লাসগুলোর একটি, যেখানে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৬০০ জন। প্রথমে মাস্টারক্লাসটির সময়সীমা দুই ঘণ্টা থাকলেই উপস্থিত মানুষের চাহিদায় এটা তিন ঘণ্টারও অধিক সময় পরিচালনা করা হয়। নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে ২৫০টিরও বেশি প্রশ্ন করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তাদের সব প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মাধ্যমে মাস্টারক্লাসটি শেষ করেন হেমি হোসেইন। এ সময় ক্যারিয়ার্সহাব বাংলাদেশ এই মাস্টারক্লাসটিতে উপস্থিতদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে শতভাগ স্কলারশীপে যেকোনো কোর্স করার সুযোগ দেয়া হয়।
হেমি হোসেইন বলেন, বর্তমান প্যান্ডেমিকের কারণে প্রত্যেকটা কোম্পানি তাদের কর্মীদের ছাটাই করে ফ্রিল্যান্স বেজ কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এখানে কোম্পানিগুলো সরাসরি ফ্রিল্যন্সারের সঙ্গে, অথবা কোনো এজেন্সির সাথে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। বাংলাদেশের অনেকে এখনো গ্লোবার মার্কেট সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখেন না। আমি চেয়েছি গ্লোবালি কাজের সুযোগগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে।
বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা যদি নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে সক্ষমতা অর্জন করে গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করে তবে তারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে। গার্মেন্টস শিল্পের চেয়ে বড় একটি সেক্টরে রূপান্তর হবে এই আইটি সেক্টর। আমি ক্যারিয়ার্সহাব বাংলাদেশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এ আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন