পারিবারিক হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগটির হেটারোজাইগাস ফর্মগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি বা সম্ভাব্যতা প্রতি ৫০০ জনের মধ্যে একজন
রোগটা আসলে কী
শুধু অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণেই নয়, বংশগত কারণেও শরীরে কোলেস্টেরলের আধিক্য হতে পারে, এ অবস্থাকে ফ্যামিলিয়াল বা পারিবারিক হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া বলে। বাবা কিংবা মা থেকে এ জিন পেলে তাকে হেটারোজাইগাস হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া এবং বাবা-মা উভয়ের কাছ থেকে এ জিন পেলে তাকে হোমোজাইগাস হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া বলে। এদের অনেকের ছোটবেলায় হৃদরোগ এবং সেই সূত্রে হার্ট অ্যাটাক হয়।
রোগের তীব্রতা
পারিবারিক হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগটির হেটারোজাইগাস ফর্মগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি বা সম্ভাব্যতা প্রতি ৫০০ জনের মধ্যে একজন। তবে হোমোজাইগাস গোত্রগুলোর সম্ভাব্যতা অনেক কম। দশ লাখে একজন। রোগের জিন বহনকারী নিকটতম আত্মীয়স্বজনের মধ্যে সম্পর্ক হলে হোমোজাইগাস হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া দেখা দেয়।
অসুখটি সাধারণত একটি এলডিএল রিসেপ্টর জিন প্রতিটি পিতা-মাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়। এ ধরনের কোলেস্টেরলের আধিক্যের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের পাশাপাশি ওষুধের প্রয়োজনে শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
শরীরে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের স্বাভাবিক মাত্রা টোটাল কোলেস্টেরল বলতে সাধারণত এইচডিএল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের ০.২ গুণের সমষ্টিকে বোঝায় অর্থাৎ টোটাল কোলেস্টেরল=এইচডিএল+ এলডিএল+০.২ ট্রাইগ্লিসারাইড। টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মিগ্রা/ডেসিলিটার বা ৬.২ মিলি মোল/লিটারের নিচে হওয়া ভালো।
রোগের লক্ষণ
ফ্যামিলিয়াল হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়ার শিকার রোগীদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, উপরোক্ত পরিমিতি প্রায়ই মেনে চলে না। স্ট্যাটিন জাতীয় কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন সত্ত্বেও পারিবারিক হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়ার রোগীর অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ, হদরোগজনিত বুকে ব্যথার (এনজিনা) পাশাপাশি ত্বকে এবং জেনথোমা বা হলুদ রঙের নরম চর্বির পাহাড় দেখা যায়। এমনকি টিনএজারদেরও একাধিক করোনারি বা হার্টের ধমনি ব্লকের কারণে বাইপাস সার্জারি করাতে হয়।
রোগ প্রতিরোধ
-ফলমূল, শাকসবজি, মাছ এবং কম চর্বিযুক্ত অথবা চর্বিমুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে
-শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
-অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।
- ধূমপান, মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
চিকিৎসা
অনেক সময় উচ্চমাত্রার ওমেগা থ্রি ফ্যাটিঅ্যাসিড সেবনেও রোগটিকে বাগে আনা যায় না। সে ক্ষেত্রে প্লাজমাফেরেসিস অর্থাৎ ডায়ালাইসিসের মতো রক্ত থেকে জমে থাকা কোলেস্টেরল বের করার ব্যবস্থা করতে হয়। এফডিএ ২০১২ সাল থেকে লোমিটাপাইড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিলেও তা শিশুদের উপযোগী নয়। মোট কথা, নিকটতম আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিবাহ রোধ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, কায়িক শ্র
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন