চলনবিলের সাহসী ছেলে সুমন। নৌকাডুবির সময় একটি ডিঙি নৌকা নিয়ে ১৫ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে এখন সে এখন 'টক অফ দি চলনবিল'। সর্বত্র চলছে তাকে নিয়ে আলোচনা। তার এই সাহসী ভূমিকা এবং বীরত্বের কারনে পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছেন।
সুমন (১৩) হান্ডিয়াল ইউনিয়নের পাকপাড় গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আঃ সামাদের ৪ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। সে হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও তার মানবিক গুণাবলী আকাশের মত বিশাল। যা সব সময় সবার জন্য অনুকরণীয় ও অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গত শুক্রবার চলনবিলে আনন্দ ভ্রমণে এসে মর্মান্তিক নৌকা ডুবিতে ৫ জন প্রাণ হারায়। ঘটনাটি ঘটে সুমনের চোখের সামনে। সে সময় ছোট্ট সুমন নিজের জীবন বাজি রেখে ছোট একটি নৌকা নিয়ে ছুটে যায় তাদের বাঁচাতে। নৌকা পানিতে তলিয়ে যাবার পর যখন সবাই বাঁচার তাগিদে তীরে ওঠার প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে, তখন সুমন সেখানে পৌঁছে সবাইকে বলে,“আপনারা নৌকায় না উঠে বোটের চারপাশে ধরে ভেসে থাকুন, আমি আপনাদের তীরে পৌঁছে দিতেছি”। তার এই সাহসী পদক্ষেপ ও বুদ্ধিমত্তার কারনে অন্ততঃ ১৫টি প্রাণ বেঁচে যায়। তা না হলে হয়তো লাশের সংখ্যা আরো বাড়তো।
তার জন্য একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গতকাল সোমবার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে চেতনায় চাটমোহরের সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুমনকে সংবর্ধনা ও সম্মননা প্রদান করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন শিশু সুমনকে সম্মাননা প্রদান করেন। সুমনের এই মানবিকতা ও সাহসী ভূমিকা তরুণ সমাজকে আরো ভাল কাজে অনুপ্রাণিত করবে বলে উপস্থিত সকলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন