দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সে শিশুদের মূলত মানসিক ও ব্রেইন ডেভলপমেন্ট হয়ে থাকে। খাবার দিতে হবে যা তাদের সঠিক ও স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তারা তাদের নিজ জগত বুঝতে শেখে এই বয়সটাই। এই বয়সে সকালে একটি ডিম সিদ্ধ দেওয়া যেতে পারে। যা কিনা বাচ্চাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি থেকে তারা পেতে পারে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও ডিমে মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যে রয়েছে কুসুমের পুষ্টি উপাদান কোলিন। যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রোটিন হিসেবে ডাল দেওয়া যেতে পারে রুটির সাথে। সকালে একটা বা দুইটা রুটি দেওয়া যেতে পারে, সাথে এক গ্লাস দুধ। দুধ এই বয়সী বাচ্চাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাবার।
মিড মর্নিং- এ আমরা তাজা ফল বা ফলের রস দিতে পারি অথবা কিছু বাদাম দিতে পারি। যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
দুপুরে এক অথবা দুই কাপ ভাতের সাথে সবজির দুই থেকে তিন টুকরা, এক পিস মাছ অথবা মাংসের টুকরা থাকতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে শসা ও লেবু। এসব খাবার যোগাবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেলস ও ভিটামিন। বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশে সাহায্য করবে এসব উপাদান।
সন্ধ্যায় বা বিকালের দিকে এক কাপ দুধ দিতে পারেন। হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করবে দুধ। রাতে দেওয়া যেতে পারে দুপুরের মতো অল্প পরিমাণে খাবার। মেন্যুতে থাকতে পারে মাছ, মাংস, ভাত অথবা রুটি।
এই সময় পরিমিত খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলা করতে উৎসাহ প্রদান করা খুব জরুরি। কারণ এই বয়সেই বাইরের পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শুরুটা হয়। এবং অবশ্যই জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন