ইয়ুথ জার্নাল ডেস্ক
পথশিশুদেরও ভালো খাবার খেতে ইচ্ছা করে। নামিদামি হোটেলে বসে চিকেন, পরোটা বা কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার স্বপ্ন দেখে অসহায় পরিবারের শিশুরাও। কিন্তু বাবা-মায়ের সামর্থ্য না থাকায় সে প্রত্যাশা কখনো পূরণ হয় না। তবে এবার খুলনার এমনসব শিশুকে নামিদামি হোটেলে খাওয়ার ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুড ব্যাংকিং কল্যাণ সংস্থা। আয়োজকরা বলছেন, এতে অবহেলিত এসব শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটবে। জানা যায়, খুলনার ৫ ও ৭ নম্বর ঘাট বস্তি এলাকার অর্ধশতাধিক শিশুকে শনিবার রাতে গাড়িতে চড়িয়ে নগরীর ফেরিঘাট মোড়ে জেসকো কাবাব ঘরে আনা হয়। সেখানে শিশুরা হোটেলের খাবার মেন্যু দেখে নিজেরাই অর্ডার দিয়ে চিকেন, পরোটা, কাবাব ও ঠান্ডা পানীয় তৃপ্তি নিয়ে খায়।
দামি হোটেলে খাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় মুহূর্তে আনন্দে মেতে ওঠে অসহায় পরিবারের এসব শিশু। সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন জলি জানান, এসব শিশু অভাবের মধ্যেই বেড়ে উঠেছে। এদের কারও বাবা নেই, মা দিনমজুরের কাজ করেন। আবার কারও বাবা রিকশা চালান। তাই সাধ থাকলেও সামর্থ্য নেই। এ কারণে অসহায় এসব শিশুর জন্য একবেলা ভালো হোটেলে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। শিশুরা সেজেগুজে যোগ দিয়েছে অনুষ্ঠানে। আমরা মনে করি, এতে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে। সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির জানান, সংগঠনের সদস্যরা মূলত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্টে যে খাবারটা বেঁচে যায় সেটা সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা, বস্তি এলাকা বা রাস্তার পাশে মানসিক অসুস্থ লোকজনের মাঝে পৌঁছে দেন। এ ছাড়া করোনাকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার, ওষুধ সরবরাহ, বস্তি এলাকায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবার শিশুদের দামি হোটেলে এনে খাওয়ানো হলো, এতে তারা নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রেরণা পাবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন